নাসির মাহমুদ (লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি): .
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে সাবেক মহিলা মেম্বার জাহানারা বেগম প্রকাশ জাইন্না মেম্বারের পতিতালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৫৫ জনের নামে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ২০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত আরও ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।.
ঘটনাটি ঘটে গত ১৯ অক্টোবর (রোববার) রাত ৮টার দিকে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৌলভীরটেক এলাকায়। ওই সময় স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা জাইন্না মেম্বারের বসতবাড়িতে চলমান পতিতালয়ে অভিযান চালিয়ে দুটি নারীকে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত অবস্থায় হাতেনাতে আটক করে। আটক নারীদের বাড়ি ফেনী জেলায় বলে জানা গেছে।.
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে জাহানারা বেগম প্রকাশ জাইন্না তার বসতবাড়িতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নারীদের এনে দেহ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। এলাকাবাসী একাধিকবার নিষেধ করলেও তিনি এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করেননি। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ জনতা তার বসতবাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।.
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কমলনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) জাইন্না মেম্বার বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৩৫ জনকে আসামি করে লক্ষ্মীপুর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।.
মামলার প্রতিবাদে শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর হাজিরহাট ইউনিয়নের মৌলভীরটেক এলাকায় স্থানীয় মুসল্লি ও এলাকাবাসী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।.
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, “দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর ধরে জাইন্না মেম্বারের বাড়িতে দেহ ব্যবসা চললেও প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সে রামগতি-কমলনগর অঞ্চলের পতিতাদের সর্দার হিসেবে পরিচিত। তার এই অনৈতিক কর্মকাণ্ড যুব সমাজকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে।”.
তারা মামলা প্রত্যাহার ও জাইন্নার দেহ ব্যবসার বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।.
এ বিষয়ে কমলনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “জাইন্না মেম্বারের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে যৌন ব্যবসা চলছিল—এমন অভিযোগে স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ হয়ে তার বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। মামলার কপি এখনো থানায় আসেনি। কপি হাতে পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
.
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: